কুড়িগ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের কন্যাকে হত্যা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম

কুড়িগ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে এক পিতা তার ১৫ বছরের কন্যাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন। পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন আসামি—ভিকটিমের পিতা, মাতা ও চাচি—বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. জাহিদুল ইসলাম তার প্রতিবেশী মজিবর গংদের সঙ্গে ৩২ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধে জড়িত ছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে গত ১০ মে গভীর রাতে  হলোখানা কাগজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী, নিজের মেয়ে জান্নাতি খাতুন (১৫)কে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এই হত্যাকাণ্ডে তাকে সহায়তা করেন তার স্ত্রী মোছা. মোর্শেদা বেগম এবং ভাইয়ের স্ত্রী মোছা. শাহিনুর বেগম।

পুলিশ জানায়, রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে রড ও দা দিয়ে কুপিয়ে জান্নাতিকে হত্যা করা হয় এবং মরদেহ বাড়ির সামনের ভুট্টা খেতে ফেলে রাখে এবং পাশাপাশি খড়ের পালায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। নিহতের চাচা মো. খলিল হক থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশের তদন্তে দ্রুতই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হয়।

১২ মে, সোমবার জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ওসি ডিবি মো. বজলার রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মামলার তদন্তকারী অফিসার কুড়িগ্রাম থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ ও ডিবি পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করে মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে উক্ত ঘটনার মূলরহস্য উদঘাটন সহ মূল ঘাতক ভিকটিমের পিতা ১) মো. জাহিদুল ইসলাম (৪৫) ভিকটিমের মা ২) মোছা. মোর্শেদা (৩৮) বেগম ও ভিকটিমের চাচী ৩) মোছা. শাহিনুর বেগম (৪৫) দের গ্রেপ্তার করে। পরে জাহিদুলের দেখানো মতে তাদের বাড়ির পাশের বাঁশঝাড় থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রড ও দা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি বজলার রহমান।

আরএস