ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নাসিরউদ্দিন পালানোর ঘটনায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, পালিয়ে যাওয়া নাসিরউদ্দিনকে (৫১) তারা গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসেছে, তবে তার পরিবার দাবি করছে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নাসিরউদ্দিনকে একটি মাইক্রোবাসে করে থানায় আনা হয়। এর আগে, সোমবার দুপুরে তাকে আটক করা হলেও কিছু সময় পর কৌশলে তিনি থানা থেকে পালিয়ে যান।
এদিকে, সোমবার রাতেই ওসি হারুন অর রশিদকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। তিনি মঙ্গলবার পুলিশ লাইনে যোগদান করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নাসিরউদ্দিন একজন ব্যবসায়ী। আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কে তার টিনের দোকান রয়েছে। সোমবার দুপুরে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি থানার ভেতর থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় থানা থেকে পালানোর পর নাসিরউদ্দিনের বড় ভাই নবাব আলী, যিনি স্থানীয় বাকাইল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, তাকে থানায় নিয়ে আসেন।
নাসিরউদ্দিনের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান বলেন, “আমার ভাই রাজনীতি করেন, তবে তিনি কোনো মামলার আসামি নন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার ভাইকে থানায় নেওয়ার পর তিনি ভয় পেয়ে পালিয়ে যান। পরে আমরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজার পর জানাই যে, তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। এরপর তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।”
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, “মৌখিকভাবে স্ট্যান্ড রিলিজের বিষয়টি শুনেছি, তবে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজপত্র পাইনি।”
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, “নাসিরউদ্দিন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সোমবার তাকে আটকের পর তিনি থানা থেকে পালিয়ে যান। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।”
তিনি আরও জানান, “আসামি ধরার ঘটনায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কাউকে ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে, এবং মঙ্গলবার রাতে পুলিশ লাইনে যোগদান করবো।”
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সার্কেল) ইমরুল হাসান বলেন, “আমি স্টেশনের বাইরে আছি। এই বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।”
ইএইচ