টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে ঝিনাইদহে “মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম”-এর ভূমিকা শীর্ষক দিনব্যাপী একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (ষষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্পের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া আক্তার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের প্রকল্পের ঝিনাইদহ জেলার সহকারী পরিচালক মৌসুমি সুলতানা।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের অন্তর্ভুক্তি, নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রতকরণ এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষার মূলধারায় সংযুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এ ধরনের প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রকল্প শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় প্রকল্পের বর্তমান কার্যক্রম, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ইএইচ