কোটি টাকার স্বর্ণসহ তুলে নেয়া সিন্দুক উদ্ধার

মিলন, খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ০৯:২২ পিএম

কুষ্টিয়ার খোকসা বাজারের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে দুর্বৃত্তদের তুলে নেওয়া কোটি টাকার স্বর্ণ-রুপা ভর্তি লোহার সিন্দুকটি ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

তবে শনিবার রাত পর্যন্ত কাউকে আটক বা সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে বাজারের ৬ শতাধিক ব্যবসায়ী চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

খোকসা থানা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে একটি সিলভার রঙের প্রাইভেটকারে করে দুর্বৃত্তরা এসে খোকসা বাজারের 'বাংলাদেশ জুয়েলার্স' নামক দোকানের শাটারের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। মাত্র ১২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মধ্যে দোকানের মূল লোহার সিন্দুকটি গাড়িতে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা জানান, চুরি যাওয়া সিন্দুকে প্রায় ৪৫-৫০ ভরি স্বর্ণ, ৩০০ ভরি রুপা এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিল। তার দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তিনি শুক্রবার রাতে খোকসা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

শনিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না গ্রামে একটি ভাঙা অবস্থায় সিন্দুকটি উদ্ধার করা হয়। পরে ভিডিও কলে দেখে সেটি তার বলে শনাক্ত করেন মাসুম বিল্লা। বর্তমানে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, “মামলা হয়েছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। দুর্বৃত্তরা সিন্দুকটি পাশের জেলা ঝিনাইদহে ফেলে গেছে। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। আশা করছি দ্রুতই ভালো সংবাদ দিতে পারবো।”

এদিকে, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সিলভার রঙের একটি প্রাইভেটকার শুক্রবার ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ জুয়েলার্সের সামনে এসে থামে। শাটার খোলার শব্দ শোনা যায় এবং ঠিক ১২ মিনিট পর গাড়িটি একই পথে চলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা ওই গাড়িতেই ঘটনাস্থলে আসে এবং পালিয়ে যায়।

খোকসা স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরোদ কুমার রায় বলেন, “থানার এত কাছাকাছি থেকেও এমন একটি বড় ধরনের চুরির ঘটনা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আমরা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের দাবি জানাই।”

বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা গোলাম ছরোয়ার জানান, “শনিবার ব্যবসায়ীদের জরুরি বৈঠকের কথা থাকলেও তা হয়নি। পুরো বাজারে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।”

ইএইচ