চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলার মধ্যে এক নারীকে ‘লাথি মেরে’ বহিষ্কৃত জামায়াতকর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার বেলা পৌনে ৩টার দিকে নগরীর লালদীঘির পাড় এলাকা থেকে কোতয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
কোতয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, জামালখানে গত বুধবার বিকালে হামলার ঘটনায় করা হামলায় আকাশকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেওয়ার প্রতিবাদে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চ গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট গত বুধবার বিকালে নগরীর জামালখান প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল বের করে।
‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’ নামে এক প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে একদল লোক সেই মিছিলে হামলা চালালে জোটের ছয়জন নেতাকর্মী আহত হন।
ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশ। হামলার জন্য জোটের নোতারা জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের দায়ী করেন।
ওইদিন গভীর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করে। আটক দুজনকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তাদের ছাড়িয়ে আনতে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য‘ব্যানারে কিছু যুবক বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভও করেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে এক নারীকে লাথি মারতে দেখা যায় হামলাকারী এক যুবককে।
তখনই সোশাল মিডিয়ায় আকাশ চৌধুরীর নাম আসতে থাকে। বলা হয়, ভিডিওতে যাকে লাথি মারতে দেখা গেছে, তিনি আকাশ চৌধুরী।
এরপর সমালোচনার মুখে আকাশ চৌধুরীকে কর্মী পদ থেকে ‘বহিষ্কার‘করে জামায়াতে ইসলামী। তার একদিনের মাথায় তাকে গ্রেপ্তার করা হল।
আরএস