ফেনীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফেনী প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম


পবিত্র ঈদুল আজহা আর মাত্র তিন দিন পর। ঈদ ঘনিয়ে আসায় ফেনীর বিভিন্ন এলাকায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। শুরুর দিকে হাটগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি কম থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার হাটগুলোতে ছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।

পশুর হাটে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। 

মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন হাট পরিদর্শন করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান।

জেলার বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, এবার হাটগুলোতে দেশীয় গরুর সরবরাহ বেশি। অনেক ক্রেতা ইতোমধ্যে পছন্দের পশু কিনে নিয়েছেন। তবে পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

ফুলগাজীর মুন্সীরহাট বাজারে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, গরু ও ছাগলের দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে। ফলে অনেকেই পশু না কিনেই হাট থেকে ফিরে যাচ্ছেন। কোরবানির জন্য গরু কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, হাটে গরু-ছাগলের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও বিক্রেতারা দাম তুলনামূলকভাবে বেশি চাচ্ছেন।

একই হাটে ছাগল কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে জেলার কয়েকটি হাট ঘুরে দেখেছি। কিন্তু এখনও কাঙ্ক্ষিত দামে ছাগল মেলেনি। বিক্রেতারা দাম একটু বেশি চাইছেন। প্রকৃত খামারির চেয়ে হাটে ব্যাপারীর সংখ্যাই বেশি।”

এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা যে দামে গরু কিনেছি, ক্রেতারা তার চেয়েও কম দামে নিতে চাইছেন। গরুর ওজন ও গুণাগুণ অনুযায়ী দাম তুলনামূলক কম বলায় বেচাকেনা কম হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, দেশীয় ও মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা বেশি।

এক ছাগল বিক্রেতা জানান, “চারটি ছাগল এনেছিলাম, এর মধ্যে দুটি বিক্রি করেছি। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ক্রেতা কম, তাই ফিরে যাচ্ছি।”

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোজ্জাম্মেল হক জানান, “পশুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে। প্রাকৃতিক খাদ্যে গরু পালনের বিষয়ে বিক্রেতাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হরমোন বা কেমিক্যাল যাতে ব্যবহার না করা হয়, সে বিষয়েও সচেতন করা হয়েছে। এবার হাটে দেশি গরুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।”

পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “পশুর হাট যতক্ষণ চলবে, ততক্ষণ পুলিশ সেখানে উপস্থিত থাকবে এবং টহল দেবে। চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধে কড়া নজরদারি রয়েছে। প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকতে হবে। জাল টাকা শনাক্তে হাটে মেশিন রয়েছে, প্রয়োজনে তা ব্যবহার করুন। গরু ক্রয়-বিক্রয়ে কোনো সমস্যা হলে দ্রুত পুলিশকে জানাতে হবে।”

ইএইচ