শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৫, ১২:০০ পিএম

দেশের অন্যতম বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় আজ পবিত্র ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত এ জামাতে ইমামতি করেন কিশোরগঞ্জ শহরের বড় বাজার মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

ঈদ জামাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ করতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।

নামাজ শেষে মোনাজাতে ইমাম মুফতি আবুল খায়ের ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রার্থনা করেন এবং দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেন।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কোরবানির ব্যস্ততার কারণে এবার ঈদুল আজহার জামাতে মুসল্লির সংখ্যা কিছুটা কম হলেও উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ঈদুল ফিতরের তুলনায় মুসল্লির সংখ্যা কম হলেও মাঠ ছিল পরিপূর্ণ।

এবারের ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার মোহা. কাজেম উদ্দীন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনেরা।

শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান ঘিরে নেওয়া হয় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাঠ ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি, র‍্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১ হাজার ২০০ সদস্য। ৪টি ওয়াচ টাওয়ার, সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোন ও মাইনোকুলার ব্যবহার করে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়।

মাঠে প্রবেশের জন্য ২৩টি ফটকের মধ্যে ৫টি ফটক উন্মুক্ত রাখা হয়। এসব ফটকে স্থাপিত আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে মুসল্লিদের তিন স্তরের নিরাপত্তা তল্লাশির পর ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে মুসল্লিদের কোনো ব্যাগ বহনে নিষেধাজ্ঞা ছিল; শুধু জায়নামাজ নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ মিয়া জানান, “শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ১৯৮তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।"

ইএইচ