ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পর্নোগ্রাফি চক্রের মূল হোতা বদিউল আলম তুহিন সরকারকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পর্নোগ্রাফির ফাঁদে ফেলে প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান আজ শুক্রবার বিকেলে আসামিকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা সদর থানার হাউজিং এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত তুহিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঘোড়াশাল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে পারিবারিকভাবে পরিচিত তানিয়া খানম নামে এক নারী ব্যক্তিগত ভিডিও সংগ্রহ করেন। পরে সেই ভিডিও সুপার এডিট করে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এই ভয়ভীতি দেখিয়ে চক্রটি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত বছরের ২২ ডিসেম্বর বোয়ালমারী থানায় ৬ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন (মামলা নম্বর-৯)।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের হরিহরনগর গ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে সেলিম খান ওরফে সুমন শিকদার (৩৪), তাঁর স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩২), নয়নীপাড়া গ্রামের মুক্তার মোল্লার ছেলে মুজাহিদ (২৫), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার আদর্শ গ্রামের ইউসুফ খানের মেয়ে তানিয়া খানম (৩২), আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিকিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মোল্লার মেয়ে কাকলী বেগম (৩২)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম দেওয়ান বলেন, “দীর্ঘ ছয় মাস তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নজরদারি চালিয়ে অবশেষে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এর আগেই মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে কাকলী বেগম, তানিয়া খানম ও মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
ইএইচ