সিলেটের লোভাছড়া কোয়ারি থেকে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ পাথর পাচারের সময় সুরমা নদী থেকে পাথরবোঝাই ৯টি স্টিলবডি নৌকা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকার পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন নদী তীর থেকে এসব নৌকা আটক করা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, লোভাছড়া থেকে পূর্বে জব্দ হওয়া পাথর গোপনে পাচার করা হচ্ছিল।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. সজিব খান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি অভিযানে ২০২০ সালের জুলাই মাসে লোভাছড়া কোয়ারি থেকে প্রায় এক কোটি ঘনফুট অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর জব্দ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে মজুদ থাকা এসব পাথরের মধ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) ৪৪ লাখ ঘনফুট পাথর নিলামের মাধ্যমে পিয়াস এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে। তবে সামি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, প্রকৃতপক্ষে নিলামের নামে প্রায় এক কোটি ঘনফুট পাথর পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ৫৬ লাখ ঘনফুট পাথর গোপন রেখে মাত্র ৪৪ লাখ ঘনফুট নিলামের জন্য দেখানো হয়। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জব্দকৃত পাথর পাচারের চেষ্টা করা হয়, যা আদালতের নির্দেশনা লঙ্ঘনের শামিল। তার দাবি অনুযায়ী, এই পাথর পাচারের সঙ্গে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জড়িত, যার সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগও রয়েছে।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমদ বলেন, “স্থানীয়দের সহায়তায় পাথরবোঝাই নৌকাগুলো আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। যারা নৌকা আটক করেছেন, তারা আইনি প্রক্রিয়ায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”
এ বিষয়ে উপকমিশনার মো. সজিব খান জানান, “সিলেটের কোয়ারিগুলোতে বর্তমানে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় জব্দকৃত পাথর পাচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ইএইচ