কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভা এলাকায় বিল্ডিং কোড অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণের সময় আপত্তি জানাতে গেলে পৌরসভার কার্য-সহকারী গোলাম মোস্তফাকে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে ফেলে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে উলিপুর পৌরসভার রামধাস ধনিরাম নুরপুর এলাকায়। বর্তমানে আহত গোলাম মোস্তফা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় পৌরসভার সহকারী কর নির্ধারক রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় আব্দুল আজিজের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) উক্ত এলাকায় পৌরসভার অনুমোদন ও বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণ করছিলেন। প্রতিবেশী ইউনুস আলীর ছেলে বজরা এলকে আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মমিনুল ইসলাম প্লাবন পৌর প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে পৌর প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেন।
ওই নির্দেশনা অনুযায়ী পৌরসভার কার্য-সহকারী গোলাম মোস্তফা নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভবনের একতলা ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
পরে স্থানীয়রা ও তার সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বিল্ডিং নির্মাতা সাইফুল ইসলাম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ভবনের কাজ চলছিল। পৌরসভার কর্মী গোলাম মোস্তফা এসে কাজ বন্ধ করতে বলেন। তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে তিনি পা পিছলে নিচে পড়ে যান। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।”
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরুল ইসলাম বলেন, “আহত গোলাম মোস্তফার দাঁতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রেফার্ড করা হয়েছে।”
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “পৌর কর্মচারীর ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ইএইচ