বরগুনার তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা হাটের ইজারাদার ফরহাদ তালুকদার ও তার সহযোগীরা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে গবাদিপশুর হাট বসিয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সদস্য ইদ্রিস হাওলাদার, নিজাম উদ্দিন সরদার, শারিকখালী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব কাওসার হাওলাদার, নয়া মিয়া হাওলাদার ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সোহেল মিয়া রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এই বিষয়ে গত ২৪ এপ্রিল বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগ দেওয়ার দুই মাস অতিবাহিত হলেও উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কচুপাত্রা হাটের ইজারা আহ্বান করেন। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফরহাদ তালুকদার ইজারা পান। এরপর থেকেই বৈশাখ মাসের শুরু থেকে প্রতি রবিবার সাপ্তাহিকভাবে গবাদিপশুর হাট বসিয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালেও তা উপেক্ষিত হয়েছে।
স্থানীয়রা দ্রুত এই অবৈধ পশুর হাট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। জহিরুল ইসলাম বলেন, “ইজারার নিয়ম অনুযায়ী গবাদিপশুর হাট বসানোর অনুমতি নেই, কিন্তু তারা প্রভাব খাটিয়ে হাট বসিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। আমি জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
এ বিষয়ে কচুপাত্রা হাটের ইজারাদার ফরহাদ তালুকদার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।” তবে তিনি গবাদিপশুর হাট বসানোর বিষয়টি আংশিকভাবে স্বীকার করেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. সফিউল আলম বলেন, “বিষয়টি জানার পর তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ইএইচ