প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন ইতালি প্রবাসী হালিম খান। কিন্তু সেই প্রেমই ডেকে আনল মৃত্যু। হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় ক্ষুব্ধ স্বজন ও গ্রামবাসী আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিল তার দ্বিতীয় শ্বশুরবাড়ি।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের দারাদিয়া গ্রামে বুধবার (২৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের প্রতি ক্ষোভ থেকে হালিমের স্বজন ও এলাকাবাসী তার দ্বিতীয় শ্বশুর সোমেদ চৌকিদারের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে চার কক্ষের একটি টিনশেড ঘর, রান্নাঘর, ধানের গোলাঘর ও ভিতরের সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। তবে এর আগেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন, সোমেদ চৌকিদার ও পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন ইতালি প্রবাসী হালিম খান ও রেশমা বেগম। বিয়ের পর শ্বশুর সোমেদ চৌকিদারকে দেওয়া হয় প্রায় ৬০ লাখ টাকা। মোটরসাইকেল কেনার জন্য পাঠানো টাকা দিয়ে কেনা হয় শ্যালক সবুজ চৌকিদারের নামে।
তিন মাস আগে দেশে ফিরে হালিম টাকা ফেরত চাইলে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। একপর্যায়ে সোমবার (২৩ জুন) রাতে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে হালিমকে পিটিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যান স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে বুধবার সকালে সোমেদ চৌকিদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন হালিমের স্বজন ও গ্রামবাসীরা। আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
রাজৈর থানার ওসি মো. মাসুদ খান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক। আগুন লাগানো ও বিশৃঙ্খলার ঘটনায় তদন্ত চলছে।
স্থানীয়দের দাবি, হালিম হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হোক।
বিআরইউ