‘দেশবিরোধী কোনো চুক্তি মেনে নেওয়া হবে না’

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফেনী প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ ব্যানারে রাজধানী থেকে শুরু হওয়া রোড মার্চের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, দেশবিরোধী কোনো চুক্তি মেনে নেওয়া হবে না। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ ও অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এ বন্দর কোনো বিদেশি শক্তির কাছে ইজারা দেওয়ার যে কোনো পরিকল্পনা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। তা না হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

শনিবার সকালে ফেনী শহরের শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন বক্তারা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি ফেনী জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট বিমল শীল এবং সঞ্চালনা করেন ফেনী বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক জসীম উদ্দীন।

বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, "জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এলেও তারা সেই গণআকাঙ্ক্ষার বিপরীত পথে হাঁটছে। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে একের পর এক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সঙ্গে চুক্তি করছে। আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।"

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, "চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ছিল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। এই আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যেকোনো অবস্থান আমরা প্রত্যাখ্যান করব। সরকার এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে করিডোর ও বন্দর ইজারা দিতে চাইছে, যা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। চুক্তির নামে দেশবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।"

সমাবেশ শেষে অংশগ্রহণকারীরা 'বন্দর বাঁচাও, দেশ বাঁচাও', 'চুক্তির নামে দেশ বিক্রি, চলবে না চলবে না', 'মা-মাটি-মোহনা বিদেশিদের দেব না', 'স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল কর'—এই স্লোগানসম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন।

এর আগে শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করার উদ্যোগ, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর চালুর পরিকল্পনা এবং স্টারলিংকের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে’ জড়ানোর চেষ্টা বন্ধের দাবিতে ঢাকা থেকে রোড মার্চ শুরু করে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’। রোড মার্চটি কুমিল্লা অতিক্রম করে শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেনীতে পৌঁছায়।

ইএইচ