মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৫ উপলক্ষে কুড়িগ্রামে ৯ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত মাদক প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় সভা, র্যালি এবং প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এই সময়ে যাত্রাপুর, চাকন্দাখান পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, পাথরডুবি, ময়দান, দিয়াডাঙ্গা, ধলডাঙ্গা, হাজিপাড়া, শালঝোড়, ভাওয়ালকুড়ি, বাবুরহাট, সোনাহাট, কেদার, কচাকাটা, মাদারগঞ্জ, চৌদ্দঘুড়ি, পাখিউড়ারচর, দইখাওয়ারচরসহ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ জনগণের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সীমান্তে মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ, মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার বিষয়ে সচেতন করা হয়। সীমান্ত অতিক্রমে আইন ভঙ্গ না করতে জনগণকে সতর্ক করা হয় এবং সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে নিকটস্থ বিওপি-কে অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়।
এ ছাড়া ২২ বিজিবি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল, কুড়িগ্রাম-এ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। সভায় মাদকের কুফল ও প্রতিকার নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
বিজিবি ব্যাটালিয়নের চিত্তবিনোদন কক্ষে সামরিক ও বেসামরিক সদস্যদের নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশ রোধে কৌশল, করণীয় ও নির্দেশনা তুলে ধরা হয়।
কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব-উল-হক বলেন, "বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশ ও জনগণের স্বার্থে সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করে আসছে। মাদক ও অবৈধ পণ্য চোরাচালান রোধে আমাদের কড়া নির্দেশনা রয়েছে। পুশ-ইন ঘটনার পর আমরা আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছি।"
ইএইচ