সন্ধ্যা নামলেই জমে ওঠে কোটি টাকার পানের হাট

বরিশাল ব্যুরো: প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৫, ১১:৫৬ এএম

বরিশালের গৌরনদীতে সন্ধ্যার পর জমে ওঠে ব্যতিক্রমী এক হাট—এ হাটে বিকিকিনি হয় শুধু পান। আর প্রতিদিনই এখানে লেনদেন হয় কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহের পাঁচদিন, সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি সরগরম থাকে এই পানের হাট।

গৌরনদী পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের টরকী বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন নীলখোলা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে এই হাট। বৃহস্পতিবার ও সোমবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন বসে এই বিশাল পানের বাজার।

সরেজমিন দেখা গেছে, দিনের আলো মিলিয়ে সন্ধ্যা নামতেই বিভিন্ন এলাকার পান চাষিরা ভ্যানে করে বরজের পান নিয়ে হাজির হন আড়তে। পানের আড়তগুলোতে শ্রমিকদের ব্যস্ততা তখন তুঙ্গে। প্রতিটি আড়তে কাজ করেন ১০–১৫ জন শ্রমিক।

স্থানীয় আড়তদার ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ১০–১২ লাখ টাকার পান ক্রয় করেন একজন পাইকার। এসব পান সরবরাহ হয় ঢাকাসহ সিলেট, ফেনী, কুমিল্লা ও দেশের অন্যান্য জেলায়।

পান চাষিরা বলছেন, আগে গ্রামের হাটে পান বিক্রি করতে হতো। তখন অনেক পান অবিক্রিত থাকত। এখন আড়তের কারণে সহজে পান বিক্রি করা যাচ্ছে। বর্তমানে পান সাইজভেদে প্রতি বিড়া ৭০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালে দাম আরও বাড়ে।

আড়তদারদের মতে, হাট গড়ে ওঠার ফলে চাষি যেমন পান বিক্রিতে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন, তেমনি পাইকাররাও পাচ্ছেন নির্ভরযোগ্য উৎস।

গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখ বলেন, ‘এ উপজেলায় প্রায় ৬৮০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। এবার ফলনও ভালো হয়েছে। আমরা কৃষকদের প্রযুক্তি ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছি।’

পানকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কাঁচাবাজার, মাছ বাজারসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে এ হাট শুধু কৃষিপণ্যের নয়, গ্রামীণ অর্থনীতিরও চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে।

বিআরইউ