টাঙ্গাইলের মধুপুরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ৪০ হাজার ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন নার্সারি থেকে আনা ইউক্যালিপটাসের এসব চারা নার্সারি মালিকদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।
সরকার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ নিষিদ্ধ ঘোষণার পর দেশের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ক্ষতিকর গাছের চারা আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হলো। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আশেক পারভেজ।
এ সময় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন নিজেও কয়েকটি চারা কেটে ধ্বংস করেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আশেক পারভেজ বলেন, “ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব গাছে পাখি বাসা বাঁধে না, পাতাগুলো সহজে পচে না এবং এর নিচে অন্য কোনো ফসল জন্মায় না। এছাড়াও আশেপাশে বসবাসকারী মানুষদের শ্বাসকষ্ট ও এজমার মতো রোগ হতে পারে। তাই সরকার এসব গাছ নিষিদ্ধ করেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা টাঙ্গাইলের মধুপুর ও সখীপুরে এই গাছ ধ্বংসের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে জেলায় জেলায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে।”
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, “মধুপুরে যেখানেই ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা উৎপাদন বা বিপণন হবে, সেখানেই সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. দুলালুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আতিয়ার রহমান, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তাজনী নূর রাত্রীসহ অনেকে।
ইএইচ