ফেনীতে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার বহু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ২১টি স্থান ভেঙে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। এতে করে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতার জন্য স্পিডবোটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আনা হয়েছে। ধাপে ধাপে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ছাগলনাইয়ার বাসিন্দা সাংবাদিক কফিল উদ্দিন জানান, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। প্রবল স্রোতে পানি ঢুকে ঘরবাড়িসহ এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা ডুবে গেছে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, ফেনীতে গত চার দিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবারও জেলাজুড়ে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নদীগুলোর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে এলেও বাঁধ ভেঙে পড়ায় নতুন নতুন এলাকা এখনও প্লাবিত হচ্ছে। পানি পুরোপুরি কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, "পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।"
ইএইচ