অভয়নগরে শত মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে মজুতখালী বাঁধ সংস্কার

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ১১:২৩ এএম

যশোরের অভয়নগরে শত মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে মজুতখালী নদীর ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের দীঘলিয়ারাবাদ গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধসে যাওয়া ১০০ মিটার বাঁধ সংস্কার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সংস্কার করার উদ্দেশ্যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গ্রামের বাসিন্দারা ঝুড়ি, কোদাল, পলিথিনের বস্তা ও বাঁশ নিয়ে বাঁধ এলাকায় জড়ো হন। স্থানীয় ইউপি সদস্যের আহ্বানে সেখানে সংস্কার কাজ শুরু করেন তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘গত বছর বর্ষা মৌসুমে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধের কয়েক স্থান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্প্রতি কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দীঘলিয়ারাবাদ গ্রামের মজুতখালী নদীর বেড়িবাঁধের প্রায় ১০০ মিটার ধসে যেতে শুরু করে। তাই গ্রামবাসীর উদ্যোগে দ্রুত সংস্কার করা হয়েছে। তা না হলে দীঘলিয়ারাবাদ, নলামারা ও জয়ারাবাদ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ত, তলিয়ে যেত ফসল ও শত শত মাছের ঘের।’

বিশ্বজিৎ বিশ্বাস আরো বলেন, ‘গ্রামের প্রায় ১০০ জন বাসিন্দা স্বেচ্ছাশ্রমে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ করেছেন। ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধে ৮০০ বস্তা বালু ও ৮০টি বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। বেড়িবাঁধের প্রাথমিক সংস্কার হয়েছে। গ্রামবাসীর অর্থায়নে এই কাজে খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ সংস্কারে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায়  গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এই কাজ করেছেন।’

অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে ভৈরব নদের ত্রিমোহনী থেকে শুরু হওয়া নদীর নাম মজুতখালী। এই নদীর অভয়নগর অংশে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের তিন গ্রাম দীঘলিয়ারাবাদ, নলামারা ও জয়ারাবাদ। এসব গ্রামের মানুষ নদীর বেড়িবাঁধ ধসের কারণে আতঙ্কে ছিলেন। বৃহস্পতিবার বাঁধ সংস্কারের জন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।


এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল বলেন, ‘মজুতখালী নদীর ধসে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

বিআরইউ