টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুয়াজানি গ্রামের মো. শুকুর মিয়ার বড় ছেলে মো. বুদ্দু মিয়া (৪০) মেরুদণ্ডজনিত গুরুতর সমস্যায় শয্যাশায়ী।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মেরুদণ্ডের জয়েন্ট থেকে হাড় আলাদা হয়ে গেছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার না করালে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা।
বুদ্দু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্ত্রী জহুরা বেগম (৩০) ও দুই শিশু সন্তান—জহিরুল (৯) ও জিসানকে (৬) নিয়ে কোনোমতে চলছিল তার সংসার। এখন তিনি পুরোপুরি অচল হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। চিকিৎসার খরচ জোগাতে পরিবারের একমাত্র টিনের ঘরটিও বিক্রি করে দিয়েছেন। তবুও প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় হয়নি।
স্ত্রী জহুরা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “স্বামী সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছেন। ঘর বিক্রি করেছি, এখন মাথা গোঁজারও জায়গা নেই। দুই ছেলেকে নিয়ে উপোসে দিন কাটছে। ডাক্তার বলেছেন—দ্রুত অপারেশন না করলে তাকে বাঁচানো যাবে না। যদি দয়ালু মানুষের সাহায্য পাই, হয়তো স্বামীকে আবার সুস্থ করে তুলতে পারব।”
ছোট্ট জহিরুল চোখ মুছতে মুছতে বলে, “বাবা আমাদের জন্য কষ্ট করে দিনরাত পরিশ্রম করতেন। এখন তিনি কিছুই করতে পারেন না। আমরা কিছুই বুঝতে পারি না, শুধু চাই—বাবা যেন আবার আমাদের পাশে থাকেন। আপনারা যদি সাহায্য করেন, বাবা হয়তো আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।”
প্রতিবেশী রানী হলদার বলেন, “আমরা পাশাপাশি থাকি। বুদ্দু মিয়া খুবই অসুস্থ। যতটুকু পারি, সাহায্য করেছি। কিন্তু অপারেশনের খরচ এত বেশি যে আমরা কেউই তা বহন করতে পারছি না। দেশের দয়ালু মানুষদের কাছে আকুল আবেদন—তাকে সাহায্য করুন, যাতে একটি জীবন বাঁচানো যায়।”
বুদ্দু মিয়ার পিতা মো. শুকুর মিয়া (৮০) আবেগভরে বলেন, “আমি গরিব মানুষ। আমার ছেলে সারাজীবন খেটে খুটে সংসার চালিয়েছে। এখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য আমাদের নেই। আমি সকলের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি—আমার ছেলেকে বাঁচান।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দুলাল মিয়া বলেন, “বুদ্দু মিয়া একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। আজ তিনি অসুস্থ হয়ে জীবনের সঙ্গে লড়ছেন। আমি সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষদের প্রতি অনুরোধ করছি—এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ান।”
চিকিৎসায় সহযোগিতা পাঠাতে বা যোগাযোগ করতে পারেন— বিকাশ (পারসোনাল) নম্বর: ০১৩২৭৩৯১৭৫১
একটি ছোট সহানুভূতিই ফিরিয়ে দিতে পারে একটি পরিবারে হাসি। আসুন, আমরা একসাথে বুদ্দু মিয়ার পাশে দাঁড়াই।
ইএইচ