কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী হত্যা মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব এই রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন।
রায় ঘোষণার সময় ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকি ৬ জন পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা এবং নিহত সৈয়দ আলী সবাই করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর (কজলাহাটি) গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আসামিদের সঙ্গে সৈয়দ আলীর দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে নিয়ামতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ফার্মেসিতে ওষুধ আনতে গেলে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে সৈয়দ আলীকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার চার দিন পর, ২৫ মার্চ নিহতের বড় বোন পারভীন সুলতানা করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহর আলী ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ইএইচ