ঝালকাঠি সদর উপজেলার ভীমরুলী ভাসমান পেয়ারা হাটে উচ্চ শব্দে বাজানো বাদ্যযন্ত্র ও অশ্লীল নৃত্য বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি, ভিডিও, পোস্ট ও মন্তব্যে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ইতোমধ্যে পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলা প্রশাসন এ সংক্রান্ত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ঝালকাঠিতেও একই ধরনের নির্দেশনার দাবি জোরালো হয়েছে।
স্বরূপকাঠি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পেয়ারা বাগানের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৬ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে ঝালকাঠির মানুষও আরও সচেতন হয়ে ওঠে এবং ঝালকাঠি অংশেও এমন নির্দেশনার দাবি জোরালো হয়।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (ঝালকাঠি) শাখার সভাপতি ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আক্কাস সিকদার এবং অন্যান্য পরিবেশ সচেতন নাগরিকরা জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলা এবং পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার সীমান্তবর্তী প্রায় ৫৫টি গ্রামে বিস্তৃত পেয়ারা রাজ্য একটি পরিবেশ-সংবেদনশীল এলাকা। তাই পর্যটকদের নিরাপদ ও সচেতন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে কিছু নীতিমালা কঠোরভাবে মানা প্রয়োজন।
তাঁদের দাবি অনুযায়ী, উচ্চ শব্দে কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না, কারণ এটি স্থানীয় জনজীবন ও বন্যপ্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। পর্যটকদের শালীনতা বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। বড় আকারের ট্রলার বা উচ্চ শব্দযুক্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকা ব্যবহার না করে ছোট ও মাঝারি আকারের নৌযান ব্যবহার করতে হবে। নদী ও বাগান এলাকায় খাবারের উচ্ছিষ্টাংশ, প্লাস্টিক, পলিথিনসহ কোনো ধরনের বর্জ্য ফেলা যাবে না।
তারা আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা জারি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান জানান, বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটক ভাসমান পেয়ারা বাজার দেখতে আসেন। নদীঘেরা এই বাজার ও পেয়ারা রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ফলের সমারোহ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত।
ইএইচ