নাটোরের গুরুদাসপুরে ভুয়া এনএসআই পরিচয় দিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে চাঁদা দাবির অভিযোগে মো. নাজমুল হোসেন (৩০) নামের এক প্রতারককে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (NSI)।
আটক নাজমুল গুরুদাসপুর পৌরসভার খামার নাচকৈড় এলাকার বাসিন্দা এবং পশু চিকিৎসক মকবুল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নাজমুল নিজেকে এনএসআই সদস্য পরিচয় দিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে দফায় দফায় হাজির হয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি বলেন, গুদামে খারাপ চাল আছে—এই অভিযোগ তুলে গুদাম ও অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রেজাউল হক খন্দকার বলেন, “বিষয়টি ৩ আগস্ট জেলা প্রশাসককে জানানো হলে, তিনি এনএসআই নাটোর শাখাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এনএসআই-এর একটি টিম অভিযান চালিয়ে রাত ৮টার দিকে গুরুদাসপুর মডেল মসজিদের সামনে থেকে নাজমুলকে আটক করে। অভিযানে ডিএসবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও অংশ নেন।”
এ ঘটনায় নাটোর জেলা প্রধান সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জুলহাস উদ্দিন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আসমাউল হক জানান, “আটক নাজমুলকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পরবর্তীতে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, নাজমুল একা নন—তার পেছনে একটি প্রভাবশালী চক্র রয়েছে। তারা দাবি করেন, নাজমুলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন ও সচেতন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ইএইচ