টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী রাঙামাটির ছয়টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এতে সদরের পাশাপাশি বাঘাইছড়ি, লংগদু, জুরাছড়ি, বরকল ও বিলাইছড়ি উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে দেখা গেছে, রাঙামাটি পৌর এলাকার আসামবস্তি, ব্রাহ্মণটিলা, বাস টার্মিনাল এলাকা ও বাঘাইছড়ি উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটি—বঙ্গলতলী, মারিশ্যা, রূপকারী, খেদারমারা, বাঘাইছড়ি এবং আমতলী ইউনিয়নের অনেক গ্রাম পানি তলিয়ে গেছে।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ওয়ার্ড পানিতে প্লাবিত হয়ে অভ্যন্তরিণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
কাচালং নদী ও কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে এসব নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি এবং মানুষের চলাচলে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি হয়েছে।
লংগদু উপজেলার মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝরনা টিলা, ভাসাইন্যাদম ইউনিয়ন, বগা চত্বর ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া, গুলশাখালী ইউনিয়নের সোনাগাঁও পাড়া ও মাইনী ইউনিয়নের এফআইডিসি বড় কলোনি প্লাবিত হয়েছে।
বিলাইছড়ি উপজেলা সদর, ধূপ্পারছড়, বহলতলী, বাঙ্গালকাটা এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলেও কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রবেশ করেছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন জানান, জেলার ২৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। এছাড়া দুর্গতদের জন্য এক হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট এবং দুই হাজার কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।
ইএইচ