আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির অন্তরালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে রাঙামাটিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি পৌর শাখা।
রোববার সকাল ১০টায় শহরের বনরূপা সিএনজি স্টেশন চত্বরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পিসিসিপি রাঙামাটি পৌর সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজুল হাসান। বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন, জেলা যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইসমাঈল গাজী এবং পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশের আদিবাসী নন। ইতিহাস ও গবেষণা অনুযায়ী তারা মিয়ানমার, ভারত ও চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যুদ্ধে বিতাড়িত হয়ে এখানে বসতি স্থাপন করেছেন। সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদে দেশে কোনো আদিবাসী নেই—শুধু ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর স্বীকৃতি রয়েছে।
তারা মন্তব্য করেন, “কাক যেমন ময়ূরের পেখম লাগালেই ময়ূর হয় না, তেমনি এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কখনো আদিবাসী হতে পারে না।” বক্তাদের অভিযোগ, ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির আড়ালে “জুম্মলেন্ড” নামে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র চলছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ বলেন, “উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিলে তা দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে। তাই কেউ যেন তাদের ‘আদিবাসী’ না বলেন।”
ইএইচ