বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ ও গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
  • অনশন ভাঙেননি আন্দোলনকারীরা
  • ফিরে গেলেন স্বাস্থ্যের ডিজি

শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের আশ্বাসে অনশন ভাঙতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বরং তারা বৃহস্পতিবার থেকে মহাসড়ক অবরোধের পাশাপাশি গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

আন্দোলনের নেতা মহিউদ্দিন রনি জানান, স্বাস্থ্যের ডিজি বরিশালে এসে প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেও আন্দোলনকারীদের ডাকা হয়নি। তাই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সরাসরি বরিশালে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত বরিশাল ব্লকেড ও গণঅনশন চলবে।

ডিজি ডা. আবু জাফর আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো যৌক্তিক বলে স্বীকার করে জানান, স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের জন্য পৃথক দুটি কমিশন কাজ করছে। কিছু দাবি তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব হলেও বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আনা ও জনবল নিয়োগে সময় লাগবে। তিনি শেবাচিম হাসপাতালে কিছু অনিয়ম দূর হওয়া এবং জনবল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা উল্লেখ করেন।

তবে আন্দোলনকারীরা তার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হননি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে এনে তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত অনশন ও অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। রনি বলেন, “আমাদের ছোট ভাইরা তিনদিন ধরে আমরণ অনশনে বসে আছে, তবু উপদেষ্টা আসেননি। কিছু হলে দায় উপদেষ্টাকেই নিতে হবে।”

বুধবার ডিজির নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বরিশালে এসে সার্কিট হাউজে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে শেবাচিমে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে বিকেলে ঢাকায় ফিরে যান।

এদিকে আন্দোলনের সপ্তম দিনে বুধবারও ছাত্র-জনতা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক ও বরিশাল-ঝালকাঠি-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে। আন্দোলনকারীরা ১৭ দিন ধরে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ, শেবাচিমে সিন্ডিকেট ভাঙা এবং চিকিৎসাসেবার উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইএইচ