নাটোরের গুরুদাসপুরে বৈধ বিয়ের স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন করছেন এক তরুণী। যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি তাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
রোববার রাতে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগীন্দ্রনগর মধ্যমপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী ওয়াজেদ আলী (৩০)-এর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। অনশনরত তরুণী স্থানীয় কৃষক আব্দুল মালেকের প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে।
এলাকাবাসীর বরাতে জানা গেছে, সন্ধ্যা থেকে ওই তরুণীকে শ্বশুর জিহাদ আলী ও শাশুড়ি শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং গেট আটকে দেন। পরে তিনি বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন।
কনে জানান, গত ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ মাসে কাজি অফিসে তার বিয়ে হয় ওয়াজেদ আলীর সঙ্গে। কথা ছিল এক বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে বরের বাড়িতে তুলে নেবে পরিবার। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ির সবাই জানতেন। প্রবাসী ওয়াজেদ দেশে আসার পর গোপনে যাতায়াতও করতেন। কিন্তু হঠাৎ শ্বশুর ২০ লাখ এবং স্বামী ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এমনকি চার দিনের মধ্যে ৫ লাখ টাকা না দিলে সম্পর্ক অস্বীকারের হুমকিও দেন। এ অবস্থায় তিনি বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, “বিয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু জিহাদ আলী কোনোভাবেই মানতে চাইছেন না। আমরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে মহিলা অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।”
গুরুদাসপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেখা মণি পারভিন বলেন, “বিষয়টি আমরা জেনেছি। মেয়েটির পাশে অবশ্যই থাকব। বিয়ের কাগজপত্র যাচাই করে দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান ও ভুক্তভোগী তরুণীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
জেএইচআর