দৌলতপুরে বন্যাদুর্গতদের পাশে উপজেলা বিএনপি

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম

পদ্মার ভাঙন ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যা দুর্ভোগে বিপর্যস্ত কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা বিএনপি।

বুধবার সকাল থেকে দিনভর পানিবন্দী পরিবারগুলোর হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা। 

প্রায় ১ হাজার ১০০ পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শের আলী সবুজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মস্তোফা, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বোনজির আহমেদ বাচ্চু এবং থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী।

চলতি আগস্টের শুরুতে পদ্মা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেলে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৫টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন, আবার কেউ স্কুল-কলেজ ভবনে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

যদিও বর্তমানে নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে, তবু দুর্ভোগ কাটেনি দুর্গতদের। বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো খাবার ও ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবারের গৃহপালিত পশু না খেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফিলিপনগর, মরিচা, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বিপুল আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ত্রাণ বিতরণ শেষে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন,“বিএনপি সবসময় জনগণের দল হিসেবে অসহায় মানুষের পাশে থেকেছে। বর্তমানে যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে আমরা ত্রাণ নিয়ে এসেছি। শুধু দলীয় নয়, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই এই কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আশা করি, অন্যান্য সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোও এগিয়ে আসবে।”

ত্রাণ নিতে আসা দুর্গতরা জানান, ঘরে পানি ওঠায় তারা দিনমজুরির কাজ করতে পারছেন না। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জীবিকা সংকটে পড়েছেন। তারা আরও ত্রাণ সহায়তার দাবি জানান এবং দ্রুত কৃষি পুনর্বাসন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন কার্যক্রম চালুর আহ্বান জানান।

ইএইচ