সিলেট ছাড়লেন ডিসি মুরাদ: নতুন ডিসি দায়িত্ব নেবেন কাল

সিলেট প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম

সিলেটের পাথর লুট ঠেকাতে ব্যর্থতার চাপ ও সমালোচনার মুখে জেলা প্রশাসক (ডিসি) শের মাহবুব মুরাদ বুধবার সিলেট ছাড়েছেন।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেন। 

পরে বেলা ১২টার দিকে তিনি সরকারি গাড়িতে করে কার্যালয় ত্যাগ করেন। এসময় তার গানম্যানও উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম বৃহস্পতিবার সিলেটে যোগ দেবেন। এর আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক সূবর্ণা সরকার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।

গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শের মাহবুব মুরাদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে পদায়ন করেছে। তিনি গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সিলেটের ডিসি হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার দায়িত্বকালে জাফলং, ভোলাগঞ্জ, সাদাপাথরসহ বিভিন্ন কোয়ারি থেকে ব্যাপক বালু-পাথর লুটের অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে সাদাপাথরে নজিরবিহীন লুটপাট দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি বলেন, “পাথর লুটে স্থানীয় প্রশাসনের দায় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তার এমন মন্তব্যের পরদিনই ডিসি মুরাদকে ওএসডি করা হয়। একই দিনে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারাও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা স্বীকার করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে মো. সারোয়ার আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সিলেটে ৫১টি কোয়ারির মধ্যে আটটি বড় পাথর কোয়ারি অবস্থিত। এছাড়া সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, উৎমাছড়া এবং অন্তত ১০টি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পাথর উত্তোলনের স্থান রয়েছে। 

২০২০ সালের পর পরিবেশগত ক্ষতির কারণে কোয়ারি ইজারা বন্ধ থাকলেও রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী চাপের কারণে বারবার ইজারা চালুর চেষ্টা করা হয়েছে। সরকার অনুমতি না দেওয়ায় গত এক বছর ধরে প্রকাশ্যেই অবৈধভাবে পাথর লুট চলে আসছিল, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

ইএইচ