ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০২:৪০ পিএম

ফেনী ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণসহ একাধিক দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এতে উভয় লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের উত্তরাংশে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্থায়ী ক্যাম্পাসের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস সার্ভিস চালু, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের পরিবর্তনসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনকারীরা শহরের হাজারী রোড হয়ে পদযাত্রা করে মহাসড়ক অবরোধ করেন।

এসময় তারা স্লোগান দেন— “মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন মানি না, মানবো না”, “ছাত্র আন্দোলন দুর্বার হোক, ভাড়া ক্যাম্পাস শেষ হোক”, “স্থায়ী ক্যাম্পাস মানতে হবে, প্রতারণা ভাঙতে হবে”, “বিওটি ভুয়া, ভুয়া ভুয়া”, “আজকের সংগ্রাম, আগামী প্রজন্মের অধিকার”, “শিক্ষা-ব্যবসা একসাথে চলে না”।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও প্রশাসন শুধু আশ্বাস দিয়েছে, বাস্তবায়ন করেনি। তারা বলেন— “স্থায়ী ক্যাম্পাস না হলে ইউজিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘রেড লিস্টে’ অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, তখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে।”

তাদের ঘোষণা, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম জামালউদ্দীন আহমদ পদত্যাগ করেন। ১৮ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে।

অবরোধ ঘিরে সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা যায়। পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নেন। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মিজ ফাতিমা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা এবং সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, “দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এখন শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তাদের একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনায় বসবে।”

ইএইচ