রমজানে পুরো মাসের পণ্য একসঙ্গে কিনবেন না: বাণিজ্যমন্ত্রী

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম

দাম নিয়ন্ত্রণে আসন্ন রমজানে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, রোজা শুরু হওয়ার প্রথম সাতদিন পণ্য কেনায় যে উপচেপড়া ভিড় থাকে, তা দরকার নেই। সবাই ভাবে একমাসের পণ্য কিনবেন, তারও দরকার নেই।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে সাতটা ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে। চিনির মজুত পরিস্থিতি ভালো। তবু দাম একটু বেশি। রমজানে দাম নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। অনেক সময় ছোটো সংকটকে আমরা বড় করে দেখি। আমাদের ভোক্তা অধিকার সক্রিয় রয়েছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান শুরুর সাতদিন আগে ক্রেতারা যে বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েন, সেটা একটু কাইন্ডলি আপনারা (সাংবাদিক) দেখুন। তাদের বলুন, এর দরকার নেই। কারণ, দোকানে আছে ১০০ কেজি মাল, যখন ১০ জন ক্রেতা একসঙ্গে গিয়ে প্রত্যেকে ১০০ কেজি করে কিনতে চায় তখন মনে হয় সংকট, যেটা আর্টিফিশিয়াল (কৃত্রিম)।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সব মানুষ যদি একদিনেই মনে করে সব কিনে ফেলবে, তাহলে কীভাবে হবে? সাপ্লাইটা তো ঠিক রাখতে হবে। এটা একটা পজিটিভ মেন্টালিটি। হুট করে বেশি পণ্য কেনার দরকার নেই। এটা সারা মাস ধরেই পাওয়া যাবে। এক মাসের পণ্য কেউ যেন একসঙ্গে না কেনে। তাহলে বাজারে সমস্যা হবে না। আমরা সার্বাত্মক চেষ্টা করছি, যেন রমজান মাসে বাজারে এ সমস্যাটা না হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মশুর ডাল, ছোলা, খেজুর ও চিনি রমজান মাসে দরকারি পণ্য। এ ৬ পণ্য মজুত রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

আগামী রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেও আশ্বাস দেন টিপু মুনশি।

চিনির দাম অন্যান্য পণ্যের তুলনায় একটু বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চিনির ওপর ডিউটি কমানোর জন্য একটি চিঠি পাঠানো হবে।

পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুরের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারেও এসব পণ্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি।

সয়াবিন তেল ও পাম তেল নিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম তেমন একটা বাড়েনি। তাই এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাড়বে না। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলে হয়ত দামের ওপর প্রভাব পড়বে। আমরা লক্ষ্য করেছি, পণ্য ‍দুইটির দাম ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, এলসি খোলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলবো। আশা করি এ সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে।

টিএইচ