ইসলামী ব্যাংকের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৩, ০৮:৪৪ পিএম
ইসলামী-ব্যাংকের-৪০তম-প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে-আলোচনা-ও-ইফতার-মাহফিলইসলামী ব্যাংকের আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত অতিথিরা।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সর্বজনীন কল্যাণে ইসলামী ব্যাংকিং’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে গত বৃহস্পতিবার এ অনুষ্ঠান হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নাজমুল হাসান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, ডিরেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল আলম, সৈয়দ আবু আসাদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।

স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। দোয়া পরিচালনা করেন শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।

গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন মিনিস্টার মাই ওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ ও আলিফ গ্রুপ অব কোম্পানিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আজিজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, বিচারপতি, কূটনীতিক, আইনজীবী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, উলামা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যাপক মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ১৯৮৩ সালের এই দিনে ইসলামী ব্যাংক যাত্রা শুরু করে। দেশের আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণ, শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ মার্কেট শেয়ার ধারণ করে ইসলামী ব্যাংক জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম শক্তিতে পরিণত হয়েছে। গণমানুষের অপরিসীম আস্থা ও ভালোবাসায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

‘আন্তরিক রেমিট্যান্স সেবার মাধ্যমে প্রবাসীদের অবিচল আস্থা অর্জন করেছে এই ব্যাংক। এই ব্যাংকের কল্যাণধর্মী সেবা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত।’ 

ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলতে ইসলামী ব্যাংকের আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সেবা, সেলফিন অ্যাপ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ সব আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক আজ সাফল্য ও অগ্রগতির ৪০ বছর অতিক্রম করেছে। এ ব্যাংকের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন দেশে ১০টি ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকসহ প্রায় ৩৪টি ব্যাংক শাখা ও উইনডোর মাধ্যমে ইসলামি ব্যাংকিং পরিচালনা করছে।

‘দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি পরিপালনকারী ব্যাংক এবং দেশের ব্যাংকিং খাতে এ ব্যাংকের দক্ষতা ও পরিচালন কৌশল শ্রেষ্ঠত্বের মানে উন্নীত। এ ব্যাংক জাতীয় উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার।’

এআরএস