রিজার্ভ ছাড়াল ২৭ বিলিয়ন ডলার

আইএমএফের ১৩০ কোটি ডলার পেল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির মোট ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার একসঙ্গে পেয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এ অর্থ যোগ হওয়ায় মোট রিজার্ভ আবার ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ (গ্রোস রিজার্ভ) দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।

আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। তবে এই পদ্ধতিতে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ হিসাব করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে ব্যয়যোগ্য বা প্রকৃত রিজার্ভ রয়েছে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার।

এই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ হিসাব থেকে আইএমএফের এসডিআর (Special Drawing Rights) খাতে থাকা অর্থ, ব্যাংকগুলোর ফরেন কারেন্সি ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ এবং আকুর (Asian Clearing Union) বিল বাদ দেওয়া হয়।

প্রতি মাসে গড়ে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় ধরলে, এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসেরও বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। উল্লেখ্য, একটি দেশের স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড।

চলতি মাসের শুরুতে (৪ জুন) দেশে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২০ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন এবং ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল ১৬ বিলিয়নের ঘরে।

এর আগে, সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণ কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার (রিভিউ) প্রতিবেদন উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়। এর পরই দুই কিস্তির অর্থ ছাড় করে সংস্থাটি।

ইএইচ