রাজস্ব আদায় হোঁচট খেয়েছে, সব ভুলে দেশের স্বার্থে কাজ করবজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন রাজস্ব আদায় এবার একটু হোঁচট খেয়েছে, তবে সবকিছু ভুলে গিয়ে দেশের স্বার্থে সবাই কাজ করব।
সোমবার (৩০ জুন) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গতবারের চেয়ে রাজস্ব আদায় বেশি হবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু যে রকম আশা করছিলাম, একটু তো হোঁচট খেয়েছি গত কয়দিনের কাজ-কর্মে। ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়েছে। রাজস্ব আদায় হোঁচট খেয়েছে। যা কিছু হয়েছে সবকিছু ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সবাই কাজ করব। যে কাজগুলো আছে সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আশা করি আমাদের আর এ ধরনের বড় সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না। অতীতে রেভিনিউ অফিসাররা যেভাবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন, একইভাবে সামনেও তারা কাজ করবেন।
তিনি বলেন, কাস্টমস হাউজগুলো গতকাল বিকেল থেকেই কাজ শুরু করেছে। তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। এর ফলে সবার মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে। সকাল থেকেই আমাদের সব দপ্তরে কাজ শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ উপস্থিতি আছে। সব কাস্টমস হাউজ, আইসিডি, ভ্যাট ও কর অফিস সবাই কাজ করছে। যেহেতু আজ ৩০ জুন (অর্থবছরের শেষ দিন)। আজকে আমাদের একটা বড় ড্রাইভ থাকে। রেভিনিউগুলো যেগুলো পাইপলাইনে আছে সেগুলো ট্রেজারিতে নিয়ে আসার একটা ক্রমাগত চেষ্টা থাকে। সেই চেষ্টা চলছে।
রাজস্ব আদায়ের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে এনবিআর প্রধান বলেন, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত আমাদের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। আজ যেটা ট্রেজারিতে জমা হবে সেটার রিপোর্ট কাল পাব। এর বাইরে সরকারি প্রকল্পের কর বা মূসকের বিল থাকে; যেটা আদায় হয়, সেটা সমন্বয় করতে কিছুটা সময় লাগবে। নরমালি জুন ক্লোজিংয়ে একটু সময় লাগে। ২-৩ সপ্তাহ লেগে যাবে ফাইনাল ফিগার আসতে। এখন আমাদের রেভিনিউ রিপোর্টিং সিস্টেমেটিক, আমরা ম্যানুয়াল রিপোর্ট করি না। এনবিআর একটা ফিগার, বাংলাদেশ ব্যাংক একটা ফিগার বলবে সেটা আর নেই। সবার একই ফিগার।
আবদুর রহমান বলেন, আজকেও সময় আছে, আজকে তারা চেষ্টা করছে। ট্যাক্স অফিসারদের প্ল্যানের মধ্যে আছে কারা ট্যাক্স পেয়ার, কারা বছরের শেষে কর দেবে, এটা তারা জানে। আজ সব দপ্তর খোলা, ব্যাংক খোলা। আমার ধারণা আজকে ভালো পরিমাণ অর্থ জমা হবে। সরকারি বিলগুলো অ্যাডজাস্ট করলে গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত। একটা নির্দিষ্ট অংশের গ্রোথ হবে। আমরা যে রকম আশা করেছিলাম হয়তো সেটার কাছাকাছি থাকবে। তারপরেও জুলাই মাসে আবার ড্রাইভ দিয়ে আমরা এটা ট্রেজারিতে নিয়ে আসব। জুলাই মাসে আমাদের টাকা লাগবে। সরকারকে জুলাই মাসে খরচ করতে হবে। আমাদের কর্মতৎপরতা আগের মতো চলবে।
আরএস