জবির সেই ছাত্রীর ফোন উদ্ধার, ‌গ্রেপ্তার ২

জবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২২, ০৪:০৯ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী পারিশা আক্তারের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে সেটি চার হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন দুই ছিনতাইকারী রাশেদুল ইসলাম ও রিপন ওরফে আকাশ। ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই ছিনতাইকারী ও চোরাই ফোনের ক্রেতা শফিক সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে তেঁজগাও থানা পুলিশ।

বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে তেঁজগাও থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেঁজগাও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রুবাইয়াত জামান।

তিনি বলেন, পারিসার ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমরা প্রাথমিকভাবে ছিনতাইকারী দুইজনকে শনাক্ত করি। এদের মধ্যে রাশেদকে গ্রেফতারের পর সে তার অপর সহযোগীর বিষয়ে তথ্য ও ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়। রাশেদের সহযোগী রিপন অন্য একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় অপর এক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ছিলেন। পরবর্তীতে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাদের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায় যে তেঁজগাও এলাকার একজন মোবাইল ব্যবসায়ী শফিকের কাছে পারিশার মোবাইল ফোনটি ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে।

তিনি আরও বলেন, ওই টাকার ২ হাজার টাকা নিজেরা ভাগ করে নিয়ে বাকি দুই হাজার টাকায় একটি বারে মদ্যপান করেন রাশেদ ও রিপন। পরবর্তীতে শফিকের কাছ থেকে পারিশার মোবাইলটি উদ্ধার করে চোরাই ফোন কেনার অভিযোগে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পারিশার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া দুই যুবক পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের মধ্যে রিপন ঘটনার কিছুদিন আগে একটি ছিনতাই মামলায় জামিন পেয়ে আবারো একই কাজে জড়িত হন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে ৬টি মামলা চলমান।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে  মিরপুর থেকে বাসে পুরান ঢাকায় যাচ্ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী। জানালা দিয়ে তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় এক ছিনতাইকারী। তাৎক্ষণিক তিনি বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করেও ধরতে পারেননি তিনি। এরই মাঝে ওই শিক্ষার্থী ঘটতে দেখেন আরেক ছিনতাইয়ের ঘটনা। এক নারীর ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছিল আরেক ছিনতাইকারী। হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরে দুই ছিনতাইকারীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই শিক্ষার্থী। প্রাথমিকভাবে তিনি তেজগাঁও থানায় জিডি করেন এবং পরে তিনি মামলা করেন।

কেএস