ইউনেস্কোর টিডব্লিউএএস আন্তঃমহাদেশীয় গবেষণায় হাবিপ্রবির গবেষক

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২২, ০৭:২৩ পিএম

ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল সাইন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) থেকে আন্তঃবিভাগীয় ও আন্তঃমহাদেশীয় যৌথ গবেষণার জন্য দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমী অফ সায়েন্স (TWAS) গবেষণা অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল হক।

এই বছর ইউনেস্কোর TWAS গবেষণা অনুদান প্রকল্পে আন্তঃবিভাগীয় গবেষণা প্রকল্পের জন্য উচ্চ-স্তরের বিজ্ঞানীদের অনুদান প্রদান করা হয়।  প্রতিটি অনুদান TWAS দ্বারা চিহ্নিত সাইন্স এন্ড টেকনোলজি তে পিছিয়ে থাকা দেশগুলিতে দুইজন প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর দ্বারা যৌথভাবে সম্পাদিত একটি সহযোগী প্রকল্পকে সমর্থন করবে।

সারাবিশ্বের গবেষকদের বিভিন্ন গবেষণা প্রস্তাবনার মধ্য থেকে এ বছরের জন্য সেরা তিনটি গবেষণায় ৬ জন ভিন্ন ভিন্ন দেশের গবেষকে (৩ জন পুরুষ, ৩ জন নারী) নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে কেনিয়ার এক অধ্যাপকের সাথে যৌথ উচ্চতর গবেষণার জন্য এই প্রজেক্টে নির্বাচিত হয়েছেন ড. আজিজুল হক।

নির্বাচিত তিনটি গবেষণা প্রস্তাবের মধ্যে টমেটো চাষে ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার বিষয়ক গবেষণার জন্য নির্বাচিত হন হাবিপ্রবির বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল হক। তার গবেষণার মাধ্যমে তিনি সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ ও হাবিপ্রবির পরিচিতি বৃদ্ধি করছেন।

তিনি কেনিয়ার এলডোরেট বিশ্ব্যিদ্যালয়ের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের একজন সহযোগী অধ্যাপক এর সাথে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন একক গবেষণা সমন্বয়ে টমেটো চাষে ব্যাকটেরিয়া সহ অন্যান্য অনুজীব ব্যবহারে উচ্চতর যৌথ গবেষণায় কাজ করবেন। এই গবেষণা পরিচালনা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সহ রাসায়নিক উপাদান ক্রয়ের জন্য অনুদান হিসেবে TWAS থেকে প্রায় ৬৬,০০০ ইউএস ডলার সমমানের অর্থ সহযোগিতা পাবেন এই দুই গবেষক।

এত বড় গবেষণার সুযোগ পেয়ে  ড. আজিজুল হক বলেন, আমি সবসময় চেষ্টা করেছি আমার কর্ম ও গবেষণার মাধ্যমে দেশ বিদেশে হাবিপ্রবির সুনাম ছড়িয়ে দিতে। TWAS এর এই গবেষণার আওতায় আমি ও কেনিয়ার প্রফেসর আলাদা আলাদা দুটি গবেষণা করবো। আমরা পরস্পরের গবেষণা কার্যক্রম নিজেরা গিয়ে পরিদর্শন করবো। আমি কেনিয়া গিয়ে ওনার গবেষণা দেখবো শিখবো ঠিক তেমনি উনিও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমাদের গবেষণা দেখবেন প্রশিক্ষণ নিবেন। পরে দুইটা গবেষণার সমন্বয়ে একটি উচ্চতর যৌথ গবেষণার ফলাফল সাবমিট করবো। এতে করে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় হাবিপ্রবির সাথে কেনিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ এলডোরেট এর একটা সম্পর্ক গড়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে হাবিপ্রবির পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে।

ইতোপূর্বে ড. আজিজুল হক ২০১৭ সালে TWAS থেকে সারাবিশ্বের ২০ জন তরুণ বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন নির্বাচিত হয়ে TWAS এর হেড কোয়াটার ইতালির ট্রাইস্টে সায়েন্স ডিপ্লোম্যাসি ট্রেনিং ওয়ার্কশপে যোগদান করেন। ২০১৮ সালে তিনি প্রথমবারের মতো TWAS থেকে তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে একক গবেষণায় অনুদান পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে TWAS আয়োজিত নেপালের কাঠমন্ডু ও চীনের বেইজিং এ কনফারেন্স এবং ট্রেনিং ওয়ার্কশপে যোগদান করেন। সম্প্রতি তিনি আবারও সায়েন্স ডিপ্লোম্যাসি কনফারেন্সের জন্য নির্বাচিত হন। 

এআই