শিক্ষা কার্যক্রমকে বিজ্ঞান নির্ভর করতে চান প্রধানমন্ত্রী: চবি উপ-উপাচার্য

চবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৮:২২ পিএম

‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিজ্ঞান নির্ভর করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি চান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা হবে। নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কৃত হবে। আধুনিক ও প্রযুক্তি জ্ঞানে শিক্ষার্থীরা সমৃদ্ধ হবে। তিনি চাচ্ছেন পাঠ্য পুস্তককে বিজ্ঞান মনস্ক করতে‍‍` -এমন মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতির বিকাশকে প্রসারিত করতে চান আমাদের প্রধানমন্ত্রী। কেননা সংস্কৃতি চর্চা মানুষকে বিকশিত করে। নবীন প্রবীণ সকল শিক্ষার্থী সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে নিজেদের বিকশিত করবে বলে আশা রাখি।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নবীনবরণ ও প্রবীন বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য এসব কথা বলেন।

বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোঃ শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক  সিরাজ উদ দৌল্লাহ, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আলী আজগর চৌধুরী, খন্দকার আলী আর রাজী, শাহাবুদ্দিন নীপু, মোরশেদুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান খান, সায়মা আলম ও ফারজানা করিম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিন সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে এই বিভাগের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কেননা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ সাংবাদিকই এই বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা দায়িত্বশীলদের সবসময় তাদের কর্তব্যের ব্যাপারে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তা পালনে সচেষ্ট করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মোঃ শহীদুল হক বলেন, এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশ এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তোদের প্রতিভা ছড়িয়ে দিবে। যে কোন প্রয়োজনে বিভাগ সব সময় তোমাদের পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে ব্যাচ প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইমাম ইমু, ৪র্থ বর্ষ শিক্ষার্থী মুহাম্মদ মাসুদ, ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান অর্পা, ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হাসান আবির, ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জানে আলম।

এসময় বিভাগের ২৩তম ব্যাচের বিদায় ও ২৮ তম ব্যাচের নবীন বরণে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ক্রেস সম্মাননা প্রদান করা হয়।

বিকেলে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।

কেএস