বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক পাচ্ছেন রাবি শিক্ষার্থী নিশি

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ১১:৪৬ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য সিরাজগঞ্জ কামারখন্দের মেয়ে মরিওম মঞ্জুরী নিশি পেতে যাচ্ছেন ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’। বিষয়টি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশির পরিবারকে নিশ্চিত করেছেন। 

আগামী (৩০ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি রাবির কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে মরিওম মঞ্জুরী নিশিকে “বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, অগ্রণী ব্যাংক” (স্বর্ণপদক ও সনদপত্র) প্রদান করবেন।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল কলেজপাড়া গ্রামে নিশির পৈতিক বাড়ি। তার বাবা মনজুর কাদের রাজশাহী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা। তারা দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়। মা মোছা. নিলুফা ইয়াসমিন ও ছোট বোন মমতা মঞ্জুরী নিঝুম। ছোট বোন নিঝুম রাজশাহী কলেজের অর্থনীতি বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক(সম্মান) পাশ করেছেন। তিনি ১৫ আগষ্ট ১৯৯৫ সালে কামারখন্দ উপজেলা কোটপাড়া গ্রামে তার মামার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্য কলা ও ছাপচিত্র বিভাগ থেকে ২০১৮ সালের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পরীক্ষায় ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অর্জন করায় মরিওম মঞ্জুরী নিশি এ পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিষয়ে স্নাতক(সম্মান)এ প্রথম শ্রেণীতে ১ম হয়েছিলেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অনুষদে ভর্তি পরীক্ষার সময়েও ১ম স্থান অর্জন করেছিলেন। তিনি মাত্র চার বছর বয়সে আঁকা-আঁকিতে সাফল্য স্মারক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান গুণী শিল্পী হাসেম খান স্বাক্ষরিত ১ম সার্টিফিকেট অর্জন করেন। তারপর থেকে শিক্ষাজীবনে পর্যায়ক্রমে গান, আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় যুক্ত ছিলেন। অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। শিশুদেরকে তিনি অনেকটা ভালো বাসেন এবং তাদের  মাঝে সময় কাটানো তার অভ্যাস।

[248177]

বিবাহিত জীবনে তিনি আট-দশজন নারীর মতোই ঘর সংসার সামলানোর অধিকগুনের অধিকারী একজন অসাধারণ  মেয়ে। তার শ্বশ্বর বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে সয়ানিপাড়া এলাকায়। তার স্বামী মো. মাহমুদুল হক তুহিন, তিনি একজন পেশা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

নিশির বাবা রাজশাহী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মনজুর কাদের আরো জানান, শুনে আসছি ড্রইং করলে প্রতিভার বিকাশ ঘটে, বিচক্ষণ ও বুদ্ধিসম্পন্ন হয়,নম্র স্বভাব,  ধীরস্থির হয়, সহজে রপ্ত করার কৌশল বৃদ্ধি পায়, দৃষ্টিশক্তি বাডড়ে, দুরন্তপনা কমে যায়, ঠান্ডা মস্তিষ্কের হয়ে উঠে। একটা কিছু গভীরভাবে চিন্তা করার শক্তি অর্জন করে। এসব গুণের সবগুলোই আমার মেয়ের মধ্যে বিদ্যমান। আমি আজ ভীষণ আনন্দিত। তার এই সফলতায় আমি তার মা ও নিশি স্বামী  সকল শিক্ষককে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এআরএস