৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঢাবি হল ছাত্রলীগ নেতা নূর

ঢাবি প্রতিবেদক  প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৬:৫২ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাকিবুল আল হাসান নূরকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন।

গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি ) হল প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞাদেশ চূড়ান্ত করা হয়। হলের প্রশাসনিক ও একাডেমিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ ও হলের শৃংখলা ও আইন পরিপন্থী কাজ করায় তাকে ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। শিক্ষার্থী হলে অবস্থান এবং কোন ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়।

রিদওয়ানুল জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত। তিনি বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকের ১০০০৫(খ)নং রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি গত ২৬ আগস্ট ঘোষিত কমিটিতে বিজয় একাত্তর হলের আইন উপ-সম্পাদক মনোনীত হন।

বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ রাত ৯.৩০-৯.৪৫ টায় বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লকের পশ্চিম কর্নারের লিফটের সামনে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত মোহাম্মদ রাকিবুল আল হাসান নূর (জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ, ২য় বর্ষ, ২০১৮ ১২৪-২৯১) তার সিনিয়র অভিযোগকারী রিদওয়ানুল হক রিয়াদ (সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, মাস্টার্স, ২০১৬-৪১৬-৯৭৪)-কে অনেকের সামনে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত এবং পরবর্তীতে রক্তাক্ত করে আহত করে। উক্ত ঘটনার খবর জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহে প্রকাশিত হয়।

এতে আরো বলা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটন ও শান্তি নিরূপণের জন্য হল প্রশাসন কর্তৃক ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি উক্ত ঘটনার সাথে আপনার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে আপনাকে হলের শৃংখলাভঙ্গের অপরাধে ০১-০২-২০২৩ তারিখ থেকে পরবর্তী ০৬ (ছয়) মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হল। উক্ত সময়কালে আপনি হলে অবস্থান এবং কোন ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’

এছাড়াও, গত ১৬ মে ২০২২ সন্ধ্যায় রাকিবুল হাসান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করায় প্রক্টর বরাবর ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন। দুইটি ঘটনার সম্মিলিত তদন্ত সাপেক্ষে হল প্রশাসনের কাছে আবেদনের ভিত্তিতে  তাকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আব্দুল বাছির বলেন, ‘রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে আগেও আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম, সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বরের ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে এর সত্যতা খুঁজে পেয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছি।’ 

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের আইন পন্থী কাজের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

আরএস