আদর্শ শিক্ষক হওয়া সাধনার বিষয়: ড. মশিউর রহমান

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৮:৪৭ পিএম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, আদর্শ শিক্ষক হওয়া সাধনার বিষয়। দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়তে হলে আদর্শ শিক্ষক বড় প্রয়োজন। শিক্ষকদের হাতেই তৈরি হবে সৃজনশীল, সৃষ্টিশীল, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে প্রফেশনাল কলেজের ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও পরীক্ষা বিষয়ক কর্মশালা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মানচিত্রসম সেই প্রতিষ্ঠান, যেটি বদলে দিলে বাংলাদেশ। দুই হাজার ২৫৭টি প্রতিষ্ঠান যদি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বসান এটিই বাংলাদেশের মানচিত্র। এখানে যে ৩৫ লাখ শিক্ষার্থী পড়েন এবং তাদের পরিবার- এরাই বাংলাদেশের মূল ধারা। এখানেই শিল্প, সাহিত্য ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি। এখানেই ক্রীড়া, এখানেই শিক্ষা। এখানে যদি বদলে ফেলতে পারি তাহলে বাংলাদেশ বদলে যাবে।

অধ্যক্ষদের উদ্দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, আপনাদের হাত দিয়ে যেসব শিক্ষার্থী তৈরি হয়, তাদেরকে যদি শিক্ষার আলোয় তৈরি করতে পারেন, তাদেরকে যদি দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে পারেন- তাহলেই দেশ বদলে যাবে। আমি তো মনে করি- সর্বাগ্রে প্রয়োজন দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি, সৃজনশীল দক্ষ নাগরিক তৈরি।

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, কেমন করে শিখতে হয়। কেমন করে নিয়মিত ক্লাসে আনা যায়। কেমন করে পড়তে হয়। কেমন করে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা যায় সেই কৌশলগুলো আমাদের বের করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীকে এগুলো শিখিয়ে দিলে ওই শিক্ষার্থী নিজেই নিজের পথ তৈরি করে নিবে। শিক্ষার পাশাপাশি তাদেরকে দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধ শেখাতে হবে। আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। সেই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে হবে।

সারাদেশের প্রায় ১৫০টি প্রফেশনাল কলেজের অধ্যক্ষ এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে কলেজের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা ও সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষবৃন্দ। কর্মশালায় অধ্যক্ষবৃন্দ তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান কলেজ উন্নয়ন নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম।

এআরএস