শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৩, ০৭:১৪ পিএম

ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট বাতিল এবং প্রথম আলোর নিজস্ব সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবে সভাপতি নিহার সরকার অংকুর বলেন, ভোর রাতে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে আসা হলো। পরের দিনও বিষয়টি কেউ স্বীকার করেনি। পরের দিন গভীর রাতে মামলা হয়েছে। পরিকল্পনা করতে করতে তারা সময় নষ্ট করে ফেলেছে। আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে এই সাংবাদিককে মুক্তি দিতে হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট বাতিল করতে হবে। সাংবাদিকদের উপর এভাবে মামলা চললে রাষ্ট্রে চতুর্থ বলে যে স্তম্ব আছে তা আর থাকবে না।কেবল মুখেই সেটি শোভা পাবে। তাই রাষ্ট্রের উচিত সেটি স্বাধীন রাখা। সেই জন্যে সাংবাদিক  শামসুজ্জামান ভাইকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিফাত শাহরিয়ার প্রিয়ান বলেন, গভীর রাতে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে সাদা পোষাকধারীদের একটা দলের তুলে নিয়ে যাওয়া, দীর্ঘ সময় ধরে তার বিষয়ে সরকার বা আইনশৃংখলা বাহিনীর না জানানো, ৩০ ঘণ্টা পর আদালতে হাজির করা এসবই হলো ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট-এরই কুফল, সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করা। তাকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া অগ্রহণযোগ্য। অবিলম্বে ও নিঃশর্তে প্রথম আলোর নিজস্ব সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের মুক্তির দাবি করছি।

প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নবাব মো: শওকত জাহান বলেন, স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে ভোর রাতে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তুলে নিয়ে ৩০ ঘন্টা পর আদালতে প্রেরণ করে।সংবিধান যেখানে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদলতে প্রেরণ করতে হবে।এই আইন স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের অন্তরায়, তাই দ্রুত এই আইন বন্ধের ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

এসময় মানববন্ধনে প্রেসক্লাবেরর সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুজ্জামান জিসান সহ কার্যনির্বাহী ও সহযোগী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ জন। নিজেদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান। পরে শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে যান তারা। এরপর থেকে কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। তুলে নেওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট-এ দুটি মামলা করা হয়েছে।

আরএস