এসএসসি পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম

২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এ ছাড়া মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষ্য প্রেস ব্রিফিংয়ে শেষে এ তথ্য জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের এসএসসিও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্র ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন।

২০২৩ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল হতে ২৩ মে ২০২৩ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ মে শুরু হয়ে ৩০ মে শেষ হবে।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড : তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল ২০২৩ হতে ২৫ মে ২০২৩ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে ২০২৩ শুরু হয়ে ৩ জুন ২০২৩ শেষ হবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫ মে শুরু হয়ে ৪ জুন শেষ হবে।

আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২৩ সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে এবং শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো অনলাইনে সার্বক্ষণিক তথ্যাদি আদান-প্রদান করবে।

অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। অভিভাবকদের অনুরোধ জানাচ্ছি গুজবে কান দেবেন না। কেউ গুজব সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন,  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ।

এআরএস