শিক্ষামন্ত্রী

মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সন্তানদের দক্ষতা অভিভাবকরা সহজে বুঝতে পারবে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০১:৫০ পিএম

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল বলেছেন, আগের মূল্যায়ন জিপি-৫ পেলেও কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে না। শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করার সময় শিক্ষার্থীর যোগ্যতার মূল্যায়ন হচ্ছে না। ফলে সে শিক্ষার্থী কর্মক্ষম হচ্ছে না। উন্নত জীবনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে না। মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানদের দক্ষতার জায়গায় অভিভাবকরা যাতে বুঝতে পারে। সেজন্য আমরা পরিবর্তন এনেছি। এখন থেকে অভিভাবকরা সহজেই এটি বুঝতে পারবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এসএসসি পরীক্ষা প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এ পদ্ধতিকে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে মূল্যায়ন কার্যক্রম জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয়েছে। নৈপুণ্য অ্যাপসের মাধ্যমে আমরা বছরের শুরু থেকেই মূল্যায়ন করতে পারছি। ফেব্রুয়ারিতে আমি তাদের অবস্থা জানতে পারলে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। আগে যেটা বছর শেষে আমরা জানতে পারতাম। বর্তমানে শিক্ষার্থীর দক্ষতা, প্রায়োগিক সক্ষমতা ও জ্ঞানের বিষয়টি আমরা বুঝতে পারছি না। সেজন্য আগের স্মরণ শক্তির পরিবর্তে এই তিনটি বিষয়ের দক্ষতা যাচাই করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল বলেন, অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমায় এবার এসএসসির পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে অভিভাবকদের উপচে পড়া ভিড়। পরীক্ষার সময় আগানো ও পেছানো নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নামাজের কারণে পরীক্ষা পেছানোর হয়নি। নতুন কারিকুলামে পেছানোর সুযোগ থাকবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে আমরা পরিদর্শনে যাইনি। যদিও আমাদের মন্ত্রণালয়ের টিম পরিদর্শনে থাকবেন। নিজের সন্তানের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে এই জড়ো হওয়া থেকে বিরত থাকি।

সীমান্ত বর্ডারের ব্যাপারে মহিবুল হাসান বলেন, মিয়ানমারের বর্ডার এলাকার এলাকার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ চলছে। সংঘর্ষে কারণে সেখানে কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে আমরা তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারবো। চট্টগ্রাম বোর্ড তাদের জন্য সে ব্যবস্থা নিবে।

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, একটি গোষ্ঠী প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ায়। যারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এটি করে। আবার আরেকটি গোষ্ঠী প্রতারণার জন্য এসব করে থাকেন। অভিভাবকরা যেন নৈতিক অবস্থানে যেন কোনো আপস না করেন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় একই রকম কাজ করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষা সহযোগিতা জন্য আমাকেও মেসেজ পাঠানো হয়।

প্রেস ব্রিফিং এ শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সচিব সোলায়মান খান, মাউশির মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ, ঢাকা বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

নাঈমুল/ইএইচ