ববির মেডিকেল সেন্টারে অফিস সময়েও চিকিৎসকের চেয়ার ফাঁকা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১০:৩০ এএম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) মেডিকেল সেন্টারে অফিস সময়েও চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিনে দেখা যায়,  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের রুমে চলছে এসি ও লাইট কিন্তু চিকিৎসকের চেয়ার র‍য়েছে ফাঁকা। এসময় দশজনের অধিক শিক্ষার্থী সেবা নিতে এসে চিকিৎসককে না পেয়ে ফিরে যান।

মেডিকেল সেন্টারের তিনজন চিকিৎসকের মধ্যে দুইজনই আছেন ছুটিতে। আর বাকি একজন ডা. মো. তানজিন হোসেন দায়িত্বে থেকেও ছিলেন না অফিসে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সকাল সাড়ে দশটায় মেডিকেল সেন্টার থেকে বের হন ঐ চিকিৎসক। পরবর্তীতে দীর্ঘ দুই ঘণ্টার অপেক্ষার পর বেলা সাড়ে ১২ টায় দেখা মিলে তার।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা আজকে উপাচার্যের সাথে দেখা করে তাদের বিভিন্ন দাবির কথা জানাতে যান। সেই কর্মকর্তাদের সাথে দাবি ও তাদের চাহিদার কথা জানাতে উপাচার্য দপ্তরে গিয়েছিলেন ডা. তানজিন হোসেনও।

এ বিষয়ে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরমান তামিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস চলাকালীন সময় মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তার থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেখানে ডাক্তার যদি তার ব্যক্তিগত কাজে বাইরে থাকে আর আমাদের এই তীব্র গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় সেটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য আমার জানা নেই। এতদিন জানতাম মেডিকেল সেন্টারে প্রয়োজনীয় ঔষধ পাওয়া যায় না। এখন দেখছি ডাক্তারও পাওয়া যায় না। এমন ই যদি হয় তাহলে মেডিকেল সেন্টারের প্রয়োজনটা কোথায়?

এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেবা না পেয়ে ফিরে যাওয়া আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অসুস্থ হয়ে মেডিকেল সেন্টারে এসে ডাক্তার না পেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ফিরে যাচ্ছি। কর্তৃপক্ষের কাছে এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে মেডিকেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মো. তানজিন বলেন, আমি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৫০ জনের মতো কর্মকর্তা উপাচার্যের দপ্তরে আমাদের কিছু দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম ১৫-২০ মিনিটে আসতে পারব, কিন্তু আসতে বেশি দেরি হয়ে গেছে।

এমনভাবে মেডিকেল ফেলে রেখে বাইরে থাকা দায়িত্বে অবহেলার মধ্য পড়ে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা আসলে আমার দায়িত্বে অবহেলা হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এমন আর হবে না।

বিআরইউ