জবির প্রশাসনিক ভবনে লিফট স্থাপন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

জবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনিক ভবনে লিফট স্থাপনের কাজ চলছে। আজ (রবিবার) দ্বিতীয় তলায় ওঠার সুবিধার্থে এই গণিত বিভাগ সংলগ্ন রাস্তার পাশে লিফট স্থাপনের কাজ  শুরু করে । মাত্র দুতলা ভবনে লিফট স্থাপনকে অপ্রয়োজনীয় ও শিক্ষার্থীদের প্রতি অবহেলার প্রতীক হিসেবে দেখছেন জবির শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।


জবির শিক্ষার্থী গিয়াস উদ্দিন ফেসবুকে লেখেন, "পোলাপানের থাকার মতো হল নাই, খাওয়ার মতো ডাইনিং নাই। আর এদিকে আমাদের ভিসি ভবনের রাজার ছেলেদের দু’তলায় উঠার জন্য লিফট বানাচ্ছে।"

বিএম রিয়াদ ইসলাম লিখেছেন,"প্রিয় জবিয়ান ভাইবোনেরা। আমরা থাকার মতো হল পাইলাম না, কিন্তু ভিসি ভবনে দু’তলায় উঠার জন্য লিফট তৈরি হচ্ছে। এ প্রশাসন ঠিক হওয়ার নয়। জুলাই আন্দোলনের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আন্দোলন হওয়া দরকার। শিক্ষার্থীদের কথা যারা চিন্তা করে না, তাদের বিতাড়িত করুন এই ভবন থেকে।"

শিক্ষার্থী ফরসাল আহমেদ লেখেন,"প্রশাসনের কাছে টাকা নেই, কিন্তু দু’তলায় ওঠার জন্য লিফট বসানো হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও দু’তলা ভবনে লিফট আছে কি না, আমার সন্দেহ। এটা তামাশা ছাড়া আর কিছু না।"

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের লিফটগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। নিম্নমানের হওয়ায় কিছুদিন পরপর নষ্ট হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের বারবার দাবির পরও এগুলো মেরামত বা নতুন লিফট বসানো হয়নি। ভবনের উত্তর পাশে লিফট বসানোর জায়গা খালি থাকলেও সেখানে এখনো কোনো লিফট লাগানো হয়নি।

অন্যদিকে, ভবনের দক্ষিণ পাশের কেসি গেটটি প্রায় সময় বন্ধ থাকে। অথচ এই ভবনে ১৫টি বিভাগ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, আইটি অফিস এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ও অফিস রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন,
"উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করতে সিনিয়র সিটিজেন ও বিদেশি অতিথিরা আসেন। সিঁড়ির ধাপ বড় হওয়ায় তাঁদের জন্য লিফট প্রয়োজন। তাই লিফট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"

তিনি জানান, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এর বাজেট পাশ হয়। তবে টেন্ডার বর্তমান প্রশাসনের সময় নাকি আগের প্রশাসনের সময়ে হয়েছে — জানতে চাইলে বলেন, ‍‍`আমি এখন রাস্তায় আছি, পরে বিস্তারিত জানাব।‍‍`

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমকে কল করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

আরএস