জবির নতুন হলের নাম বিশ্বজিতের নামে রাখার দাবি রাশেদ খানের

জবি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের একজন দর্জি বিশ্বজিত, যিনি নিজেকে হিন্দু দাবি করার পরও তাকে শিবির আখ্যা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ইতিহাসকে ধারণ করে রাখতে চাইলে এবং আন্দোলনের অংশ হিসেবে সম্মান জানাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একটি হল তার নামে রাখা যেতে পারে।”

শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ খান আরও বলেন, “জবির শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক আন্দোলন করেছে, আর আমরা রাজনৈতিক নেতারা সে আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছি। আমরা চেয়েছি, এই আন্দোলন যেন কোনোভাবে বিতর্কিত না হয়। আন্দোলন সফল হয়েছে। আপনারা চাইলে শহীদ দর্জি বিশ্বজিতকে এই আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে যুক্ত করতে পারেন।”

তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থান কোনো পরিকল্পিত আন্দোলন ছিল না, এটি ছিল ছাত্র, শ্রমজীবী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধ। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুর্বল বলার সুযোগ নেই, বরং জুলাইয়ের আন্দোলনে ৯০ শতাংশ অবদান রাজনীতিবিদদের।”

সরকার কাঠামোর সংস্কার প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, “শুধু সরকার পরিবর্তন করলেই হবে না, রাষ্ট্র ব্যবস্থারও আমূল সংস্কার প্রয়োজন। এটাই ছিল জুলাই শহীদদের প্রকৃত দাবি।”

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, “গেস্ট রুমভিত্তিক দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাসের রাজনীতি শিক্ষার্থীরা এখন আর মেনে নিচ্ছে না। এখন প্রয়োজন জ্ঞানভিত্তিক, যুক্তিনির্ভর ও শিক্ষার্থীবান্ধব রাজনীতি।”

গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সাবেক তথ্য উপদেষ্টা গণমাধ্যম সংস্কারে ব্যর্থ হয়েছেন। বরং এই মিডিয়াই ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছে। এখনো গণমাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত কোনো সংস্কারের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না।”

ইএইচ