কলকাতায় গাজী মাজহারুলের বই প্রকাশ

বিনোদন প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২২, ০২:০৩ পিএম

উপমহাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, প্রযোজক, পরিচালক, কাহিনিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার জীবদ্দশায় তার গান নিয়ে লেখা বই ‘অল্প কথার গল্প গান’ প্রকাশ দেখে যেতে পেরেছিলেন। মূলত এ বইটি পারিবারিক উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। যার নেপথ্যে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্ত্রী মিসেস জোহরা গাজী ও তার দুই সন্তান উপল-দিঠির শ্রম সম্পৃক্ত।

পারিবারিক উদ্যোগে প্রকাশিত এই বইটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড গত ৮ ডিসেম্বর কলকাতার ‘কলকাতা বইমেলা’য় প্রকাশিত হয়। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপল-দিঠির মা গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্ত্রী মিসেস জোহরা গাজীও উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত ছিলেন বইটির প্রকাশনা সংস্থা ‘ভাষাচিত্র’র কর্ণধার খন্দকার মনিরুল ইসলাম সোহেল, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কাছ থেকে গানের বর্ণনা শুনে লিপিবদ্ধকারী শিল্পী মোমিন বিশ্বাসসহ গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পরিবারের অনেকে। কলকাতায় ‘অল্প কথার গল্প গান’ বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেকেই ভীষণভাবে মিস করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে।

উপল এবং দিঠি জানান, পরিকল্পনা ছিল তাদের বাবাকে নিয়ে এই বইমেলায় দুটি খণ্ড প্রকাশের। কিন্তু ভাই-বোনের সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও বাবার ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে তার স্বপ্নকে পূরণ করার আরও একটি ধাপ শেষ হলো। এতে ভীষণভাবে তৃপ্ত, খুশি এবং অনেকটাই গর্বিত উপল ও দিঠি। সে সাথে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্ত্রীও ভীষণ খুশি তার সন্তানদের প্রতি।

কারণ বাবার প্রতি তার দুই সন্তানের এই যে আবেগ, এই যে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা— এটা গাজী মাজহারুল আনোয়ার জীবদ্দশাতেই দেখে গিয়েছিলেন। আর এখন তার স্ত্রী তাদের সেই দুই সন্তানের মধ্যে যেন আরও গভীরভাবে লক্ষ করছেন।

উপল বলেন, ‘আমার বাবা বলেছিলেন এ বইটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হতে থাকবে! সে অনুযায়ী বাবা ইতোমধ্যে পুরো বইয়ের যাবতীয় খণ্ডের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে গেছেন! তারই ধারাবাহিকতায় এবার বইটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে। আমার বাবা তার জীবদ্দশাতেই এ দুটি খণ্ডের যাবতীয় কাজ শেষ করে গেছেন। অবশেষে একসাথে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড দুটি একসাথে প্রকাশিত হয়েছে। এটাই আমাদের পরিবারের ভালো লাগা।’

দিঠি বলেন, ‘এমনদিনে যাকে নিয়ে এই আয়োজন সেই আমার গর্বিত বাবা আজ বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশী হতেন। আমি গর্বিত, আমি ধন্য যে আমি একজন বিশ্বসেরা বাবার সন্তান। তার সন্তান হিসেবে তারই জীবদ্দশায় তার জন্যই অনেক কাজ করেছি। এক পালকি-অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বাবার গানকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা। যদিও আব্বুর গান বাংলাদেশ যতোদিন থাকবে, ততোদিনই বেঁচে থাকবে। তারপরও এই বইয়ের মধ্যদিয়েও আব্বুর গানের ইতিহাস যুগের পর যুগ মানুষ জানতে পারবেন। আমি, আমার মা, আমার ভাই’সহ পরিবারের অন্য সবাই ভীষণ খুশি যে আব্বুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারছি এবং সামনে আমাদের আব্বুর স্বপ্নকে ঘিরেই অনেক কাজ। ইনশাআল্লাহ সবাই পাশে থাকবেন।’