নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দরিদ্র দেশগুলোতে গম রপ্তানি করবে ভারত

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২২, ১০:৫৯ পিএম
ফাইল ছবি

দুদিন আগে ঘোষিত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও সরকারি পর্যায়ে খাদ্য-ঘাটতি হওয়া দেশগুলোতে গম রপ্তানি করবে ভারত।

রোববার (১৫ মে) ভারতের বাণিজ্য সচিব বি.ভি.আর সুব্রহ্মণ্যম সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ভারত সরকার বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় চার দশমিক তিন মিলিয়ন টন গম রপ্তানির অনুমতি দেবে। এপ্রিল মাসেও ভারত এক মিলিয়ন টন গম রপ্তানি করেছে।

ভারত প্রধানত বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশি দেশগুলোতে গম রপ্তানি করে।

শুক্রবার দেশটির বাণিজ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গমের বৈশ্বিক দামের বৃদ্ধি ভারত এবং প্রতিবেশি ও দরিদ্র দেশগুলোর খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।

এতে বলা হয়েছে, রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপের মূল লক্ষ্য হল ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ করা। বছরের শুরু থেকে বিশ্বব্যাপী গমের দাম ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

যুদ্ধের আগে ইউক্রেন ও রাশিয়া বিশ্বের চাহিদার এক তৃতীয়াংশ গম ও বার্লি রপ্তানি করত। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে দেশটির বন্দরগুলো অবরুদ্ধ করা হয়েছে এবং বেসামরিক অবকাঠামো এবং শস্য ভাণ্ডারগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

একই সময়ে ব্যাপক তাপদাহের কারণে ভারতে গম জাতীয় ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত বছরের ১০৬ মিলিয়ন টন থেকে এ বছর ভারতের গম উৎপাদন তিন মিলিয়ন টন কমেছে। ভারতে গমের দামও ২০-৪০ শতাংশ বেড়েছে।

সুব্রহ্মণ্যম বলেন, মোট উৎপাদিত ১০৯ মিলিয়ন টন গমের মধ্যে গত বছর ভারতে ৯০ মিলিয়ন টন গম দেশে ব্যবহার করা হয়েছে এবং সাত মিলিয়ন টন গম রপ্তানি করা হয়েছিল।

যদিও ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক দেশ, তবে তার উৎপাদিত বেশিরভাগ গম দেশীয় প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। ২০২২-২৩ সালে ১০ মিলিয়ন টন শস্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল দেশটি। করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গম রপ্তানিতে রাশ টানতে হচ্ছে ভারতকে।