রোহিঙ্গা গণহত্যা: মিয়ানমারের আপত্তির বিষয়ে আইসিজের রায় আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২২, ০৪:৫২ পিএম

২০১৭ সালে মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে করা গণহত্যা মামলায় মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তির বিষয়ে রায় দিতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। গত ফেব্রুয়াারিতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আদালতে এই আপত্তির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (২২ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়) এর রায় পড়ে শোনাবেন আইসিজে সভাপতি বিচারপতি জোয়ান ই ডনোগু। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কোভিড-১৯-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধির কারণে মামলার দুপক্ষের প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কেউ আদালতে থাকতে পারবেন না। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার সে দেশের ক্ষমতা দখলের পর গণহত্যা মামলার শুনানি প্রশ্নে প্রাথমিক আপত্তি জানায়।

নিউইয়র্কের গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টারের (জিজেসি) সভাপতি আকিলা রাধাকৃষ্ণান মনে করছেন, মিয়ানমারের আপত্তিগুলো ‘যুক্তিসঙ্গতভাবেই’ প্রত্যাখ্যান করবে আইসিজে, যেন এই প্রক্রিয়ার পরবর্তী পর্যায় –দ্য মেরিট ফেজ-এ যাওয়া যায়। ওই পর্যায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাস্তবিক প্রমাণগুলো বিবেচনা করবে আদালত।

বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকের (বিআরওইউকে) সভাপতি তুন খিন বলেন, (মিয়ানমারের) এই আপত্তিগুলো (বিচারপ্রক্রিয়া) বিলম্বিত করার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে আইসিজে যে দেড় বছর সময় নিয়েছে, তা হতাশাজনক।

তিনি আরও বলেন, গণহত্যা এখনো চলছে। তাই এ বিষয়ে আর দেরি না করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

মিয়ানমারের প্রাথমিক আপত্তির ওপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুনানি শুরু হয়। এবং আদালত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট চার দিন আপত্তি বিষয়ে উভয় পক্ষের যুক্তি-পালটা যুক্তি শোনেন।

শুনানিতে মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী কো কো হ্ল্যাং দেশটির প্রতিনিধিত্ব করেন। এ সময় হ্ল্যাং দাবি করেন—গণহত্যার অভিযোগ শুনানির এখতিয়ার আইসিজের নেই।

২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় ৫০০-পৃষ্ঠারও বেশি একটি স্মারক দাখিল করে। যেখানে দেখানো হয় কীভাবে তৎকালীন মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে।

২০১৭ সালে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে, ধর্ষণ ও হত্যা করে জাতিগত নিধন অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেসময় নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তারা এখনো তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারেনি।


আমারসংবাদ/টিএইচ