বাংলাদেশের জন্য চিকিৎসা ভিসা সহজ করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম

চীনে চিকিৎসা গ্রহণে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুবিধামূলক ‘গ্রিন চ্যানেল’ ভিসা ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। 

রোববার (৪ মে) বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত মার্চে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের সময় দুই দেশের নেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কর্মী বিনিময় সহজ করার বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যবস্থার অধীনে চিকিৎসা ভিসার জন্য আবেদনকারীদের নথিপত্রের প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। ফলে দ্রুত ভিসা দেওয়া যাবে। নতুন এই ব্যবস্থার আওতায়, অনুমোদিত স্থানীয় বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সিগুলো এখন চীনে চিকিৎসার জন্য ভ্রমণকারীদের ব্যাংক ডিপোজিট সার্টিফিকেট এবং রক্তের সম্পর্ক প্রমাণস্বরূপ গ্যারান্টি পত্র ইস্যু করতে পারবে। এর ফলে আবেদনকারীদের বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত সার্টিফিকেট দাখিল করার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অগ্রাধিকারভিত্তিতে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। ভিসা সেন্টারে চিকিৎসা ভিসার জন্য একটি বিশেষ কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে আবেদনকারীরা কোনো প্রকার অপেক্ষা ছাড়াই তাদের কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে একইদিনে ভিসা ইস্যু করার জন্য একটি বিশেষ ‘গ্রিন চ্যানেল’-এর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, যেসব রোগীর চিকিৎসা ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য পূর্বনির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে, তাদেরকে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা না করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাক্ষাৎকারের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে কোনো রোগী যদি শারীরিক উপস্থিতি হওয়ার অনুপযুক্ত হন, সেক্ষেত্রে ট্রাভেল এজেন্সির গ্যারান্টিপত্রের মাধ্যমে দূরবর্তী (অনলাইন) সাক্ষাৎকারের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

চিকিৎসা ভিসাসংক্রান্ত অনুসন্ধানের জন্য দূতাবাস (০২২২২২৬০১০৩, ০১৭০৮৪৬৪৮০৯) এবং ভিসা আবেদন পরিষেবা কেন্দ্রের (০২২২৬৬০৩২৬১) হটলাইন এবং একটি হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা গ্রুপ (০১৮৮৫০৪১৩৬৪) চালু করা হয়েছে। ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনে প্রসাদ ট্রেড সেন্টার, ৬ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, বনানী, ঢাকা- এই ঠিকানার তৃতীয় তলায় সশরীরে যোগাযোগ করা যাবে। সূত্র: বাসস

আরএস