পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত যেভাবে পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সর্বশেষ বিমান হামলা চালিয়েছে, তা ‘পরিকল্পিত এক নাটকীয় উপস্থাপনা’ বলেই মনে হচ্ছে।
বুধবার (৭ মে) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। খবর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন-এর।
ইসহাক দার বলেন, পুরো ঘটনাটি যেন আগে থেকে ঠিক করা কোনো অনুশীলনের মতোই মনে হচ্ছে। তবে সময়ই সত্যতা প্রমাণ করবে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ভারতের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে পাকিস্তান গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল।
পাকিস্তানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, পাকিস্তান এই মুহূর্তেও ধৈর্য অবলম্বন করছে।
পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেবল সেই ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলোকেই লক্ষ্য করতে, যারা বোমা ফেলেছে। এ কারণেই মাত্র পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। যদি নির্দেশনা ভিন্ন হতো, তাহলে ১০ থেকে ১২টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হতো।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।
এরপর থেকে দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে পরিস্থিতি, যা রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করেছে এখন।
বিআরইউ